Header Ads

ইসলামী আন্দোন বাংলাদেশ এর পরিচিতি ।

“বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম”
ভূমিকা


আল্লাহ্ রাব্বুল আ'লামীন মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের সঠিক পথে পরিচালনার জন্য যুগে যুগে সত্য দ্বীনসহ অগণিত নবী-রাসূল (সা:) প্রেরণ করেছেন। নবী-রাসুলগণ (সা.) হক বাতিল, ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, সফলতা-ব্যর্থতার মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য বিধান পূর্বক শান্তি, কল্যাণ ও মুক্তির সঠিক পন্থা নির্ধারণ করে গেছেন। তাঁর ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের প্রতিরোধের মাধ্যমে মানবজীবনকে সুন্দর , সফল, ও সার্থক ও শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদায় সমাসীন করেছেন।
আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)’র পর এ  দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে উম্মতে মুহাম্মদী অর্থাৎ গোটা মুসলিম জাতির উপর। এ দায়িত্ব মুসলমানরা যে যুগে যতটুকু পালন করেছেন সে যুগে ততটুকু শান্তি, কল্যাণ ও মুক্তি পেয়েছেন। আল্লাহপ্রদত্ত ইসলামের সুমহান আদর্শে দেশের শতকরা প্রায় ৯০  জন লোক বিশ্বাসী। ইসলামের প্রতি এদেশের মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও দরদ অত্যন্ত গভীর। জনগণ চায় ইসলামী আদর্শ  অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হােক। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী, কায়েমী  স্বাৰ্থবাদী মহল, সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের এজেন্টদের   বহুমুখী ষড়যন্ত্র ইসলামী আদর্শ কায়েমের পথে অন্তরায় হয়ে রয়েছে  ।
একদিকে জনগণকে বার বার ধোকা দিয়ে ক্ষমতায় থাকার জন্য শাসকগোষ্ঠী ইসলামের নাম ব্যবহার করে আসছে। অন্যদিকে  ইসলামের উত্থানকে  ঠেকানোর জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ফলে দেশে বিরাজ করছে অগণিত সমস্যা এই সমস্যা
কথা অনেকেই স্বীকার করেন এবং তা সমাধানে বার বার  আন্দােলনও হয়েছে, কিন্তু সমস্যা রয়েই গেছে। সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সর্বাগ্রে মূল কারণ চিহ্নিত করা প্রয়োজন। আমরা মনে করি যতক্ষণ পর্যন্ত নৈতিক আদর্শ বিবর্জিত সমাজ কাঠামো  পরিবর্তন, ও দুর্নীতিবাজী নেতৃত্বের অবসান ঘটিয়ে  ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠা এবং সমাজের সর্বস্তরে যোগ্য, আল্লাহভীরু  লোকের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেশের কোন সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। এ সত্য উপলব্ধির প্রেক্ষিতে দেশের সর্বজন শ্ৰদ্ধেয় উলামায়ে কিরাম, পীর-মাশায়েখ ও দীনদার বুদ্ধিজীবীগুণের নেতৃত্বে ১৯৮৭ সালের ১৩ই মার্চ জালেম শাসকগোষ্ঠীও শোষণমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে দেশকে একটি পূর্ণাঙ্গ কল্যাণারাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন' প্রতিষ্ঠিত হয়। যা গত ২০ নভেম্বর।'০৮  নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ' নামে নিবন্ধন লাভ করে । নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নিবন্ধন নং-০৩৪ 2পূর্ণ ইসলামী আন্দােলন বাংলাদেশ প্রচলিত কোন রাজনৈতিক দল নয়।  দলাদলী ইসলাম সমর্থন করে না, কারণ দলীয় রাজনীতি সংকীর্ণতা, কোন্দল ও হানাহানি সৃষ্টির নামান্তর। দলীয় রাজনীতি মুসলিম উম্মাহর সংহতি ও ঐক্যকে বিনষ্ট করে উম্মাহকে  শতধাবিভক্ত করে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বস্তুতঃ ইসলামী  আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দল-মত নির্বিশেষে একটি সর্বজনীন । ইসুৰ্য্যভিত্তিক আন্দোলন। স্বাধীনতা আন্দোলন কিংবা ভাষা আন্দোলন যেমন কোন দলীয় আন্দোলন ছিল না, যা ছিল দুটি ইসুকে সামনে রেখে দলমত নির্বিশেষে একটি সর্বজনীন আন্দোলন। অনুরূপ নিছক নেতা বা সরকার পরিবর্তন নয়, দেশে প্রচলিত মানবরচিত সকল অনৈসলামী নীতি এবং জাহেলী। সমাজের সার্বিক পরিবর্তন সাধন করে ইসলামকে রাষ্ট্ৰীয়ভাবে একটি বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই ইসলামী আন্দোলনের চূড়ান্ত লক্ষ্য। এখানে একটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ৫২’র ভাষা আন্দোলন বা ’৭১ এর স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে ইসলামী আন্দোলনের কোনরূপ তুলনা করা হয়নি। কারণ ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সাথে অন্য কোন আন্দোলনের তুলনা করা আদৌ যুক্তিসঙ্গত নয়। এটা শুধুমাত্র আন্দোলনের ধরণ বুঝাবার  জন্য উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের  মূল ইসু হচ্ছে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠা।  অতএব, যতদিন বাংলার জমিনে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠা না হবে ততদিন পর্যন্ত এ আন্দােলন অব্যাহত থাকবুে ইনশাআল্লাহ।
উদ্দেশ্য ; দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতের মুক্তি লাভের জন্য আল্লাহতা'আলার সন্তুষ্টি অর্জন।
লক্ষ্য ঃ প্রচলিত জাহেলী সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন সাধন করে ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে খেলাফতে রাশেদার নমুনায় বাংলাদেশকে একটি কল্যাণীরাষ্ট্রে পরিণত করা।
কর্মসূচী
১. দাওয়াত ঃ একটি সুখী সমৃদ্ধ কল্যাণরাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য জনসাধারণকে সচেতন করা এবং সর্বস্তরে  আমর বিল মা'রূফ ও নাহি আনিল মুনকার’তথা ন‍্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের প্রতিরোধে সর্বোত্তম পন্থায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে সকলকে উদ্বুদ্ধ করা।

২. সংগঠন ঃ আন্দোলনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের প্রতি আগ্রহী সংগঠন, প্রতিষ্ঠান, দল ও ব্যক্তিদেরকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কাফেলায় সংঘবদ্ধ করা ৷"

৩. জ্ঞানার্জন ও প্রশিক্ষণ ঃ নৈতিকতা সমৃদ্ধ আলোকিত মানুষ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ধর্মীয় জ্ঞান প্রসারের পাশাপাশি প্রচলিত জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা, কর্মমুখি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনগণকে সুশিক্ষিত, দক্ষ ও আদর্শিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। সংঘবদ্ধ লোকদের আদর্শিক, আধ্যাত্মিক রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংগঠনিক দিক থেকে ইসলামী সমাজ গঠনের যোগ্য সৈনিক হিসেবে গড়ে তোলা।
৪. ঐক‍্য: ইসলামের সুমহান আদর্শের ভিত্তিতে গণমানুষের মধ্যে সুসম্পর্ক ও সংহতি সৃষ্টির চেষ্টা চালানো।

৫. শিক্ষা সংস্কার  জাতীয়ভাবে সর্বজনীন কল্যাণকে সামনে রেখে প্রচলিত মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন এবং স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষাকে ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার  সমন্বয়ে কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনের চেষ্টা চালানাে।

৬. খেদমতে খালক:

খেদমতে খলক বা সমাজের অবহেলিত বঞ্চিত মানুষের সেবা, জালিমের প্রতিরোধ এবং খেটে খাওয়া ; মজলুম মানুষের অধিকার আদায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।
৭. সমাজ সংস্কার ও অর্থনৈতিক মুক্তি ঃ সর্বস্তরে সুদ, ঘুষ, দুনীতি, সন্ত্রাস, খুন, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি ইত্যাকার সামাজিক ব্যাধি উচ্ছেদ করে গণবিপ্লবের মাধ্যমে একটি আদর্শ সমাজ  গঠন করা। অপরদিকে দারিদ্রের অভিশাপ থেকে দেশ ও  জাতিকে মুক্ত করতে সম্পদের সর্বোত্তম ও সঠিক ব্যবহার, ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দেশীয় শিল্পের বিকাশ এবং কৃষি । বিপ্লবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদানের পাশাপাশি সুদভিত্তিক  ব্যবসার নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা।

৮. অপশক্তি অপসংস্কৃতি প্রতিরোধ ঃ জাহেলী অপশক্তি ও অপসংস্কৃতির সয়লাব রোধ করে সুস্থ ধারার সৃজনশীল  ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানাের সক্রিয় প্রয়াস চালানাে।

৯. অমুসলিম বা সংখ্যালঘুদের অধিকার ঃ অমুসলিম বা সংখ্যালঘু : সম্প্রদায়ের জান-মাল, ইজ্জত-আবরুদ্র নিরাপত্তা ও ধর্মীয় } স্বাধীনতাসহ সকল নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা বিধান।  

১০. গণআন্দোলন ঃ সমাজ ও রাষ্ট্রের অকল্যাণকামী ভোগবাদী ও আল্লাহদ্রোহী নেতৃত্বের অবসান ঘটিয়ে আল্লাহভীরু দেশপ্রেমিক যোগ্য লোকের নেতৃত্বে ইসলামী আদর্শভিত্তিক একটি
কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনসাধারণকে অনুপ্রাণিত করে গণ- আন্দােলন গড়ে তোলা।

সাংগঠনিক কাঠামো
ইসলামী আন্দােলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কাঠামােতে রয়েছেঃ |
ক, একজন আমীর
খ. মজলিসে সাদারাত (প্রেসিডিয়াম)
গ. মজলিসে শুরা (পরামর্শ পরিষদ) }
ঘ, মজলিসে আমেলা (কাৰ্যনিৰ্বাহী পরিষদ)
সাংগঠনিক স্তর ঃ
আন্দােলনের সাথে সম্পৃক্ত লোকদের সাংগঠনিক মানে উন্নীত করার  জন্য তিনটি স্তর রয়েছেঃ
(ক) সদস্য (খ) কমী (গ) মুবাল্লিগ।
ক) সদস্যঃ
যিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ -এর লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের সাথে | একমত হয়ে সদস্য ফরম পূর্ণ এবং সাপ্তাহিক বৈঠকসহ বিভিন্ন | সভা-সমাবেশে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করবেন। তিনি আন্দোলনের একজন সদস্য বলে গণ্য হবেন।
খ, কর্মী ঃ  যে সদস্য নিম্নলিখিত পাঁচটি কাজ নিয়মিত আঞ্জাম দিবেন। তিনি আন্দোলনের কমী বলে গণ্য হবেন।
১. নিয়মিত সাপ্তাহিক মাসিক বৈঠক ও সভা-সমাবেশে যােগদান ।
২. নির্ধারিত হারে নিয়মিত মাসিক এয়ানত (চাঁদা) প্রদান।
৩. নিয়মিত কুরআন-হাদীস, বুজুর্গানেন্দীনের কিতাব, ইসলামী | সাহিত্য ও সাংগঠনিক সিলেবাসভূক্ত বই অধ্যয়ন করা।
৪. নির্ধারিত ফরমে ব্যক্তিগত রিপাের্ট সংরক্ষণ।
৫. তিন ছাবকের বাস্তবায়ন
(ক, দীন কায়েমের নিয়তে প্রতিদিন  দুরাকাত নামাজ আদায়
খ, সাধ্যানুযায়ী আল্লাহর রাস্তায় দান  করা,
গ. মাসে কমপক্ষে ৪ জনকে দাওয়াতের মাধ্যমে আন্দোলনের সদস্য করা |

গ. মুবাল্লিগ ঃ
উপরোক্ত পাঁচটি কাজ অব্যাহত রেখে যে কমী নিম্নলিখিত পাঁচটি । গুণ অর্জন করবেন। তিনি আন্দোলনের সর্বোচ্চ স্তরের অধিকারী । অর্থাৎ মুবাল্লিগ হবেন।
১. ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার কাজকে জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বানানো অর্থাৎ সকল কাজের উপর আন্দোলনের কাজকে প্রধান্য দান ।
২. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উন্নতির-জন্য সাৰ্ব্বক্ষণিক চিন্তা-ফিকির করবেন।
৩. উত্তরোত্তর ইলম-আমল, জান-মাল ও সময়ের কুরবানী বৃদ্ধির চেষ্টা চালাবেন।
৪. সকল প্রকার প্রলোভন ও ভয়কে পরিহার করে আন্দোলনের জন্য যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকবেন।
৫. দশটি মৌলিক দোষ; যথা- কাম, ক্ৰোধ, লোভ, হিংসা, মিথ্যা, কীনা, গীবত, কৃপনতা, রিয়া ও বড়ই বর্জন করা এবং দশটি মৌলিক গুণাবলী: যথা- ছবর, শোকর, ভক্তি, একীন, ইলাম, তওবা, খুলুছ, ভয়, তাওয়াকুল ও মহব্বত অর্জন করা। ----
বাইতুল মাল
ইসলামী আন্দােলন বাংলাদেশ -এর নীতিমালা অনুযায়ী সংগঠনের সর্বস্তরে বাইতুল মাল বা অর্থ তহবিল থাকবে । দায়িত্বশীল, সদস্য, কর্মী, মুবাল্লিগ, অধঃস্তন শাখাসমূহ, শুভাকাঙ্ক্ষী, হিতাকাঙ্কখী , সহযোগি সংগঠনের নিয়মিত মাসিক এককালিন এয়ানত-ই { (চাঁদা) এ আন্দােলনের আয়ের উৎস। প্রকাশ থাকে যে, নিরীক্ষা কমিটির মাধ্যমে আয়-ব্যয়ের সার্বিক হিসাব নিরীক্ষা করা হয়।
বৈশিষ্ট্যসমূহ
১, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রচলিত কোন দলীয় রাজনীতি নয়, বরং এটা দীন কায়েমের এক সর্বজনীন আন্দোলন যা সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ ও রাসূল (স.) নির্দেশিত এবং হযরত সাহাবায়ে কিরামের অনুসৃত পথে পরিচালিত।
২. হাক্কানী ওলামা-পীর-মাশায়েখ ও দীনদার বুদ্ধিজীবীদের সমন্বিত নেতৃত্ব।
৩. পরামর্শের ভিত্তিতে (শুরা) সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
৪. দেশে বিরাজমান মতাদর্শগত (অর্থাৎ এদেশের মানুষ পুঁজিবাদী গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ চায়, না ইসলামী আদর্শভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র চায়) সংকট নিরসনকল্পে গণভোট
(রেফারেন্ডাম) ও মসলিম জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার প্রবক্তা।
৫. রূহানিয়াত ও জিহাদের সমন্বিত প্রয়াস।
৬. অপশক্তি ( Evilforce) অপসংস্কৃতি (Devilish Culture) ও সকল জুলুম-নির্যাতন প্রতিরোধ সোচ্চার কন্ঠ।
৭. আদর্শ মানুষ গড়ার এক অনন্য সংগঠন।
৮. প্রচলিত ধারার রাজনীতি নয়। বরং আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনফারের দায়িত্ব পালনে একটি ঐক্যপ্রয়াসী শক্তি।
৯. ইসলামবিরোধী নারী নেতৃত্বসহ সকল বাতিলের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থান ।
১০, এই আন্দােলনের বিপ্লবী শ্লোগান---
“শুধু নেতা নয়, নীতির পরিবর্তন চাই”
দেশের স্থায়ী শান্তি ও মানবতার সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী আন্দােলন বাংলাদেশে যোগদানের মাধ্যমে ঈমানী দায়িত্ব পালন করি এবং বাংলাদেশকে একটি পূর্ণাঙ্গ কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করার সর্বাত্মক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে উভয় জাহানের কামিয়াবী অর্জন করি।
কর্মী মোবাইলের দৈনন্দিন আমল
১. পাঁচ ওয়াক্ত জামাতে আদায় ও তাহাজ্জুদের অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করা
2. প্রতিদিন ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর কিছু সময় যিকির অজিফা তেলাওয়াতে কোরআন সহ নফল ইবাদতের চেষ্টা করা
৩. নিয়মিত কোরআন-হাদিস, মাসয়ালা মাসায়েল, আল্লাহর ওলীদের কিতাব আন্দোলনের বই-পুস্তক পত্র-পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করা।
৪. সাধ্য মোতাবেক চলতে ফিরতে, উঠতে-বসতে সর্বদায় জিকরুল্লাহ ও দরুদ শরিফ জারি রাখা।
৫. সাধ্য অনুযায়ী আন্দোলনের দাওয়াত দেওয়া।
৬. দ্বীন কায়েমের নিয়তে  প্রতিদিন দু'রাকাত নামায ( সালাতুল হাজত) আদায় করা।
৭. আল্লাহর পথে পরিমানে কম হলেও নিয়মিত দান করা ও জান-মাল কোরবানির জন্য আল্লাহর দরবারে তৌফিক কামনা করা।
৮. প্রতিদিনের পারস্পরিক লেনদেন পরিস্কার রাখা এবং আচার-আচর সুন্দর হওয়ার দিকে লক্ষ্য রাখা।
৯. প্রত্যহ কারো কোন উপকার করা।
১০. হালাল উপার্জন ও হারাম থেকে বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করা।
১১. অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে আদায়ের চেষ্টা করা।
১২. রাতে ঘুমানোর পূর্বে সমস্ত দিনের কাজকর্মের এহতেসাব (আত্ম সমালোচনা)  করে ভূল-ত্রুটির জন্য আল্লাহর দরবারে এস্তেগফার ও ভালো কাজের জন্য শুকরিয়া আদায় করা।
১৩. ঘুমানোর সময় অজু রেখে সুরায়ে ফাতেহা ও সুরায়ে এখলাসসহ দোয়া-দরুদ পড়ার অভ্যাস করা।
আল্লাহ আমাদের সকলকে দ্বীন কায়েমের পথে শুনি ততবার কেজি হিসেবে কবুল করুন- আমীন।

কেন্দ্রীয় কার্যলয় : ৫৫/বি, পুরানা পল্টন (৩য় তলা), ঢাকা-১০০০, ফোন ৯৫৬৭১৩০ 
www.Islamiandolanbd.org  ই-মেইল  islamicandolanbd@gmail.com 


  

1 comment:

  1. যারা অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী তাদের জন্য স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস সাজেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পোস্টে দেওয়া হয়েছে ক-বিভাগ, খ-বিভাগ ও গ-বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলী, অধ্যায়ভিত্তিক সাজেশন ও প্রস্তুতির টিপস।

    ReplyDelete

Comments System

Theme images by merrymoonmary. Powered by Blogger.