Header Ads

  রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণ করলে কঠোর ব্যবস্থা


কক্সবাজার উখিয়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে আলোচনায় উঠে আসে রোহিঙ্গা সম্পর্কে বিভিন্ন অভিযোগ। তৎমধ্যে গুরুত্ব পেয়েছে রোহিঙ্গাদের নগদ টাকা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণের বিষয়টি। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাঈন উদ্দিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, 'অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য। যেহেতু যারা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে তারা অনুপ্রবেশে রোহিঙ্গাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে উৎসাহিত করছে।'
ইউএনও আরো বলেন, সীমান্ত এলাকায় যেসব আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন দায়িত্ব পালন করছে তাদের আরো দায়িত্ববান হয়ে রোহিঙ্গা  অনুপ্রবেশ পুরোপুরি প্রতিরোধ করতে হবে। তাছাড়া রাস্তার ধারে ধারে বসে যেসব রোহিঙ্গা নারী-শিশু দান খয়রাতের টাকা ও খাদ্য সামগ্রী নিচ্ছে তাদেরকে বস্তিতে পাঠিয়ে দিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিজিবি, পুলিশ কাস্টম ও আনসার ভিডিপি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মঙ্গলবার কুতুপালং বস্তি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার দু'ধারে শত শত পলিথিনের শেড নির্মাণ করা হয়েছে রোহিঙ্গাদের ভাড়া দেওয়ার জন্য। নিবন্ধিত রোহিঙ্গা নেতা ফয়সাল আনোয়ার জানান, ৮ হাত জায়গা এক হাজার টাকা করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। বাঁশ পলিথিন দিয়ে রোহিঙ্গারা নিজেরাই বেঁধে নিচ্ছে ঝুঁপড়ি। এসব ঝুঁপড়ি কোন অবস্থাতেই নিরাপদ নয় মনে করে ওই রোহিঙ্গা নেতা বলেন, 'কতিপয় এলাকার অসাধু ব্যক্তি শেড বাণিজ্যের আড়ালে রোহিঙ্গাদের নিকট থেকে নগদ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। একটু দূরেই প্রধান সড়ক সংলগ্ন বাগানের পার্শ্বে দেখা গেল ১০/১২ জন রোহিঙ্গা নারী-শিশু।'
জানতে চাওয়া হলে, নছিমা খাতুন নামের এক বয়স্ক মহিলা জানায়, তার ছেলেকে বর্মী সেনা হত্যা করেছে। ছেলের বউ ও ৫ জন নাতি নাতনী নিয়ে কোন ভাবে এখানে পালিয়ে এসেছি। পেটের তাগিদে এখানে বসে আছি কিছু পাওয়ার জন্য। কারা টাকা দেয় জানতে চাওয়া হলে, ছমুদা বেগম (৪৫) নামের এক মহিলা জানান, গাড়ীতে করে লোকজন আসে, তারাই টাকা বা খাদ্য সামগ্রী দেয়। পালংখালী বিজিবি'র সুবেদার জসিম উদ্দিন জানান, আটক রোহিঙ্গাদের খাদ্য ও মানবিক সেবা দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের জানান, অবৈধ ভাবে টাকা বিতরণ বন্ধে এসব রোহিঙ্গাদের বস্তিতে ফেরত পাঠানো হলেও তারা পুনরায় সড়কের পাশে অবস্থান নেয়। কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি'র অধিনায়ক লে.কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, রোহিঙ্গাদের অবৈধ ভাবে নগদ টাকা ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের কারণে অনুপ্রবেশে রোহিঙ্গারা আরো উৎসাহিত হচ্ছে। যে কারণে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলেও তারা কোন না কোন সীমান্তের চোরাই পথ দিয়ে ফের অনুপ্রবেশ করছে।
সূত্র ঃ ইত্তেফাক/এসএস
 http://www.ittefaq.com.bd/wholecountry/2016/12/27/97377.html 

No comments

Comments System

Theme images by merrymoonmary. Powered by Blogger.