Header Ads

স্বীকৃতির খসড়ায় যা থাকছে

স্বীকৃতির খসড়ায় যা থাকছে


বেফাক চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কওমী সনদ স্বীকৃতির খসড়া প্রস্তাবনায় উপস্থিত শীর্ষে উলামায়ে কিরাম সম্মতি প্রকাশ করেন এবং দারুল উলূম দেওবন্দের মূল নীতিমালা কওমী ধারার স্বাতন্ত্র্য-স্বকীয়তা অক্ষুন্ন রেখে নি:শর্ত স্বীকৃতির বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন
খসড়া প্রস্তানায় যা থাকছে!
* বোর্ড সম্মিলিত সনদ বাস্তায়ন কমিটির উপর সরকার আস্থা রাখবে
*রাবেতাতুল জামিয়াত আল কাওমিয়্যা বাংলাদেশ নামে বোর্ড সমন্বয়ে একটি কমিটি বা সংস্থা হবে। যার প্রধান থাকবেন বেফাকের সভাপতি সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফী  আল্লামা আশরাফ আলী
*এতে বেফাকের প্রধান ২জন ছাড়া অন্য ৫জন বাকি বোর্ডের ২জন করে ১০জন (সভাপতি, মহাসচিব বা তাদের প্রতিনিধি) অন্তর্ভূক্ত থাকবেন। মূল সভাপতির ইচ্ছা অনুসারে আরো ১৫জন অর্ন্তভুক্ত হবেন
*দাওরায়ে হাদিসকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ এরাবিকে এম .-এর মান দেয়া হবে
*দাওরারা সিলেবাস, অভিন্ন প্রশ্ন, পরীক্ষা, উত্তরপত্রের মূল্যায়ণ সনদ প্রদান কোনরূপ সরকারী সংশ্লিষ্টতা ছাড়া এই কমিটি বাস্তবায়ন করবে

মঙ্গলবার (১১এপ্রিল ২০১৭) সন্ধায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে ৩০০ আলেমের বৈঠক এক সময় আলেম-ওলামার সাথে আওয়ামী লীগের অনেক দূরত্ব ছিল বিশেষত ৫মে ১৩-এর ঐতিহাসিক শাপলা ট্রাজেডির পর আওয়ামী লীগ আওয়ামী সরকারের সাথে দেশের ইসলামী অঙ্গন আলেম সমাজের সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটে ১৩ থেকে মাত্র ১৭ সালের মধ্যে সেই সম্পর্ক একেবারে শতভাগ ঘুরে গেল আজ সন্ধায় হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী  মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ৩০০ জনের বিশাল উলামা বহর নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করবেন

দুই মেরুর দুই শীর্ষ আলেমদেরকে গনভবনে একত্র্রিত করার পিছনে যে লোকটি দীর্ঘ বছর যাবত নিরলসভাবে কাজ করেছেন এবং আলেমদের সব মহলে মিশে তাদেরকে কাছে টেনে এনেছেন, সেই সফল ব্যক্তি হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আস্তাভাজন সদালাপি মিশুক অতিশয় সজ্জন এই মন্ত্রীকে দেশের সফলতম সরাষ্ট্রমন্ত্রী বলা হয়। বিশেষ করে নিজ ভদ্র নম্র আচরণে তিনি দেশের কওমী অঙ্গনের আলেম-ওলামাদের আস্থা ভালবাসা কুড়িয়েছেন শতভাগ
আলেম-ওলামাদের আজকের এই ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তৈরী করতে তাকে যারা সহযোগিতা করেছেন তার অন্যতম হলেন আম্বরশাহ মসজিদের খতিব মাওলানা মাজহারুল ইসলাম। তাদের এই চেষ্টা অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ আলেমরা একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাট ফরমে আসার সুযোগ পেয়েছেন

দফা দাবি নামা নিয়ে গণভবনে যাচ্ছেন আলেমরা

দাবিগুলো হচ্ছে:-
. সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সম্মুখ থেকে গ্রীক দেবীমূর্তী অপসারণ করা
. বিজাতীয় অপস্বংস্কৃতী অন্যান্য ধর্মীয় রীতি সম্বলীত মঙ্গল  শোভাযাত্রা সারা দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের উপর বাধ্যতামূলক না করা
. মসজিদের কোরআন-হাদীস নির্ভর খুৎবা বয়ানের পরিসর আইন আদালতের নির্দেশনা দ্বারা সংকুচিত না করা
. মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান ইত্যাদি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান লংঘন না করা
. পাঠ্যসূচি সংশোধন বাল্যবিবাহ আইনে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বিরোধীদের শত চাপের মুখেও তা থেকে পিছপা না হওয়া
. হযরত হাফেজ্জী হুজুর মুফতি আমীমুল ইহসান রহ.-এর নাম অন্যায়ভাবে স্বাধীনতাবিরোধীদের অন্তরভূক্ত করণ এবং রাজধানীর সড়ক থেকে তাদের নাম করণ বাতিলের সিদ্ধান্ত বাদ করার মাধ্যমে নাম করণ পুনর্বহাল করা
গণভবনে আলেমদের এই দফা দাবিনামা উপস্থাপন করবেন বেফাকের সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা আশরাফ আলী


No comments

Comments System

Theme images by merrymoonmary. Powered by Blogger.