Header Ads

সহীহ বুখারীর পূর্ণ নাম


সহীহ বুখারীর পূর্ণ নাম

সংক্ষিপ্তভাবে কিতাবটি সহীহ বুখারী হিসোবে প্রসিদ্ধতা অর্জন করলেও এর পূর্ণ নাম হচ্ছে 
 الجامع المسند الصحيح المختصر من أمور
رسول الله صلى الله عليه وسلم وسننه وأيامه
 “আল জামিউল মুসনাদুস সহীহুল মুখতাসারু 
মিন উমূরি রাসূলিল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি 
ওয়া সাল্লাম ওয়া সুনানিহী ওয়া আয়্যামিহী।"

হাদীসের প্রধান প্রধান বিষয়সমূহ সম্বলিত বলে একে জামি বা পূর্ণাঙ্গ বলা হয়। কেবল মাত্রও সহীহ হাদীসে সন্নিবেশিত বলে সহীহ এবং মারফূ মুত্তাসিল হাদীস বর্ণিত হওয়ার এর মুসনাদ নামকরণ করা হয়েছে। সকল মুহাদ্দিসের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এই যে, সমস্ত হাদীসগ্রন্থের মধ্যে বুখারী শরীফের মর্যাদা সবার ঊর্ধ্বে এবং কুরআন মজীদের পরেই সর্বাপেক্ষা বিশুদ্ধ গ্রন্থ। এক লাখ সহীহ ও দুই লাখ গায়ের সহীহ মোট তিন লাখ হাদীস ইমাম বুখারী (রঃ)-এর মুখস্থ ছিল। এ ছাড়া তাঁর কাছে সংগৃহীত আরও তিন লাখ, মোট ছয় লাখ হাদীস থেকে যাচাই-বাছাই করে তিনি দীর্ঘ ষোল বছরে এ গ্রন্থখানি সংকলন করেন। বুখারী শরীফে সর্বমোট সাত হাজার তিনশত সাতানব্বইটি হাদীস সংকলিত হয়েছে। তাকরার বা পুনরাবৃত্তি (যা বিশ্বের প্রয়োজনে করা হয়েছে) বাদ দিলে এই সংখ্যা মাত্র দুই হাজার পাঁচশত তের-তে দাঁড়ায়। মুআল্লাক ও মুতাবাআত যোগ করলে এর সংখ্যা পৌছায় নয় হাজার বিরাশিতে। বুখারী শরীফের সর্বপ্রধান বর্ণনাকারী ফারাবরী (রঃ)-এর বর্ণনা অনুসারে বিখ্যাত ভাষ্যকার হাফিয ইবন হাজার (রঃ) কতৃক গননার সংখ্যা এখানে প্রদত্ত হয়েছে। বিভিন্ন বর্ণনাকারী ও গণনাকারীদের গণনায় এ সংখ্যার তারতম্য পরিলক্ষি ত হয়। উপরে বর্ণিত সুক্ষ যাচাই-বাছাই ছাড়াও প্রতিটি হাদীস সংকলনের আগে ইমাম বুখারী গোসল করে দুরাকাত সালাত আদায় করে ইসতিখারা করার পর এক-একটি হাদীস লিপিবদ্ধ করেছেন। এরূপ কঠোর সতর্কতা অবলম্বনের ফলে অন্যান্য হাদীসগ্রন্থের তুলনায় সারা মুসলিম জাহানে বুখারী শরীফ হাদীসগ্রন্থ হিসেবে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে। জমহূর মুহাদ্দিসের বুখারী শরীফের বর্ণিত প্রতিটি হাদীস নিঃসন্দেহে সহীহ ও গ্রহণযোগ্য। বুখারী শরীফ সংকলনের জন্য ইমাম বুখারী (রঃ)-এর উদ্বুদ্ধ হওয়ার কারণসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য যে, তাঁর বিখ্যাত ওস্তাদ ইসহাক ইবন রাহওয়ায়হ (রঃ) পরোক্ষভাবে তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেনঃ তোমারদের মধ্যে কেউ কি এমন নেই, যে গায়ের সহীহ হাদীস থেকে সহীহ হাদীস বাছাই করে একখানি গ্রন্থ সংকলন করতে পারে? ইমাম বুখারী (রঃ) একবার স্বপ্নে দেখেন যে, রাসুলুল্লাহ (সঃ)-এর দেহ মুবারকের উপর মাছি এসে বসছে আর তিনি পাখা দিয়ে সেগুলকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন। তাবীর বর্ণনাকারী আলিমগন এর ব্যাখ্যা দিলেন যে, রাসুলুল্লাহ (সঃ)-এর সহীহ হাদীসসমূহ গায়ের সহীহ হাদীস থেকে বাছাইয়ের কাজ স্বপ্ন দ্রষ্টা দ্বারা সম্পাদিত হবে। তখন থেকেই ইমাম বুখারীর মনে এরূপ একটি গ্রন্থ সংকলনের ইচ্ছা প্রবল হয়ে উঠে এবং এই কিতাবে তিনিই সর্বপ্রথম হাদীছ সমূহকে আধুনিক পদ্ধতিতে সুবিন্যাস্ত করেন। কিতাবটি রচনার জন্য তিনি মদীনা মুনাওযারায গমণ করেন। মসজিদে নববীতে বসে একটানা ১৬ বছর কঠোর পরিশ্রম এবং ঐকান্তিক সাধনার ফলশ্রতিতে সম্পাদিত এই গ্রন্থটি সর্বযুগের সকল আলেমের নিকট সমাদৃত হয। সমকালীন মুহাদ্দিছ ও হাদীছ বিশেষজ্ঞ পন্ডিতমন্ডলী এই মহাগ্রন্থের চুলচেরা বিশ্লেষণ, বিচার-বিবেচনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, আলোচনা-সমালোচনা এবং পর্যালোচনা করেছেন। সমগ্র উম্মত সর্বসম্মতভাবে এই গ্রন্থটিকে আল্লাহর কিতাবের পর সর্বাধিক বিশুদ্ধ ও নির্ভুল বলে স্বীকৃতি দিযেছেন। উপরে বলা হযেছে যে, প্রায নব্বই হাজার লোক ইমাম বুখারীর নিকট হতে এই কিতাবটির পুনরাবৃত্তি শ্রবণ করেছেন। বর্তমান মুসলিম জাহানের এমন কোন স্থান ও ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাওযা যাবে না যেখানে এই কিতাবটি শিক্ষা দান করা হয না। ইসলামী শিক্ষার শিক্ষার্থীগণ এই গ্রন্থটি অধ্যযন ও পাঠ দানের যোগ্যতা অর্জন করার মাধ্যমেই বড আলেম রূপে স্বীকৃত হযে থাকেন।

1 comment:

  1. How to suck girl's breast?https://worldisindoors.blogspot.com/2022/08/how-to-touch-womans-breast-properly.html

    ReplyDelete

Comments System

Theme images by merrymoonmary. Powered by Blogger.