ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ওমান কেন্দ্রয়ী কমিটির তত্ত্বাবধানে সালালাহ বিভাগীয় শাখায় শিক্ষা ও তরবিয়তি সফর অনুষ্ঠিত
ইসলামী
আন্দোলন বাংলাদেশ ওমান কেন্দ্রীয় কমিটির
তত্বাবধানে ও ওমানস্থ সাহাম শাখার
উদ্যোগে শিক্ষা
ও তারবিয়তি
সফরের কর্মসূচি
হাতে নেওয়া
হয়।
ওমান কেন্দ্রীয়
কমিটি কর্তৃক
গত ২৮
জুন’১৭
(বুধবার) আয়োজিত
ঈদ পুনর্মিলনী
অনুষ্ঠান শেষ
হলে নেতৃবৃন্দ
পরের দিন
অর্থাৎ ২৯ জুন’২০১৭ (বৃহস্পতিবার)
সকালে কেন্দ্রীয়
শাখা থেকে
ওমানস্থ সালালাতে
শিক্ষা ও
তারবিয়তি সফরের জন্য ৩০ জন
সদস্য বিশিষ্ট
এক বিশাল
কাফেলা প্রেরণ
করেন।
কাফেলার নেতৃত্ব দেন
ওমান কেন্দ্রীয়
সাংগঠনিক সম্পাদক
জনাব মির
হোসেন মিরু,
কেন্দ্রীয় সদস্য জনাব এইচ এম
হিজবুল্লাহ ও জনাব সানা উল্লাহ
সাহেব। মাস্কাট
থেকে সুদূর
সালালাতে পৌছতে
১৬ ঘন্টা
জার্নি শেষে
১২০০ কিলোমিটার
পথ পাড়ি
দিয়ে রাতেই
কাফেলা পৌছে
যায় অসংখ্য
নবী ও
সাহাবাদের বিচরণভূমি সালালাতে।
ইসলামী আন্দোলন সালালা
শাখার দায়িত্বশীল
বৃন্দ কাফেলাকে
অব্যর্থনা জানান। সালালা শাখার সবজি
মার্কেট বাঙালী
মাসজিদে অবস্থান
নেয় কাফেলা।
পরদিন সকালে
কাফেলাকে চারটি
গ্রুপে বিভক্ত
করা হয়।
১ম হযরত
আবুবকর রাঃ
গ্রুপ, ২য়
হযরত ওমর
রাঃ গ্রুপ,
৩য় হযরত
ওসমান রাঃ
গ্রুপ ও
৪র্থ হযরত
আলী রাঃ
গ্রুপ। ফজরের
পরেই সবাইকে
গ্রুপভিত্তিক সুরা মাশক করানো হয়।
সালালা শাখার
দায়িত্বশীলদের সঙ্গে নিয়ে সকাল ৮টার
পর থেকে
শুরু হয়
প্রাচীনতম ইসলামী ঐতিয্যবাহী স্থাপনাগুলোর পরিদর্শন
ও নবীদের
কবর জেয়ারত
কার্যক্রম। শুরুতেই কাফেলাকে নিয়ে যাওয়া
হয় আরবসাগরীয়
উপকূলের যেখানে
হযরত ইউনুছ
আঃ কে
৪০ দিন
পর জীবিত
অবস্থায় মাছ
তার পেট
থেকে উদগীরণ
করে সেই
স্থানটি পরিদর্শন
করা হয়।
এরপর কাফেলা
নিয়ে যাওয়া
হয় হযরত
ইমরান আঃ
এর কবর
জেয়ারত করার
জন্য। হযরত
ইমরান আঃ
এর কবর
৭০ হাত
দৈর্ঘ। বিশ্বের
বিভিন্ন প্রান্ত
হতে মানুষ
এখানে জেয়ারত
করার জন্য
এসে থাকেন।
জেয়ারত ও
পরিদর্শন শেষে
কাফেলা নিয়ে
যাওয়া হয়
হযরত আইয়ুব
আঃ এর
স্ত্রী বিবি
রহিমার কবর
জেয়ারত এর
জন্য। জেয়ারত
ও পরিদর্শন
শেষ হলে
কাফেলা ফিরে
আসে অবস্থানরত
মসজিদে। এরপর
চার গ্রুপের
আমীর কর্তৃক
শুরু হয়
ইসলামী আন্দোলন
বাংলাদেশ এর
পরিচিতি, লক্ষ-উদ্দেশ্য, অবকাঠামো
বিষয়াদি শিক্ষা
কর্মসূচি। আসরের নামাজ এর পর
শুরু হয়
দাওয়াতি কর্মসূচি।
চার গ্রুপ
বেরিয়ে পড়েন
সালালা বাজারের
চারদিকে। গণমানুষকে
ইসলামের সুশীতল
শান্তির ছায়াতলে
ফিরিয়ে আনার
মিশনে। রাত
১০টায় সবাইকে
কাফেলার অবস্থানরত
মসজিদে আসার
দাওয়াত দিয়ে
শেষ করা
হয় দাওয়াতি
মিশন। মাগরিব
এর পর
আবারো শুরু
হয় কাফেলার
সাথিদের তালীম
তরবিয়ত। রাত
১০টার আগেই
জোড়ো হতে
থাকে ইসলামী
আন্দোলন সালালা
শাখার দায়িত্বশীলবৃন্দ
ও দাওয়াত
প্রাপ্ত কর্মীগন।
সালালা শাখার
সম্মানিত সভাপতি
সেক্রেটারি সহ স্থানীয় সকল নেতাকর্মীদের
উপস্থিতিতে সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইফুল
ইসলাম সাহেব
এর সুদক্ষ
পরিচালনায় শুরু হয় প্রশিক্ষণ কর্মশালার
কার্যক্রম। তরবিয়ত প্রদান করেন ওমান
কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা
মীর হোসেন
মীরু সাহেব।
সভাপতিত্ব করেন সালালা শাখার সভাপতি মাওলানা আবুল হাসেম ফারুকী সাহেব। বক্তব্য রাখেন সালালা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা সিরাজ উদ্দিন কাজীনগরী, কেন্দ্রীয় সদস্য সাংবাদিক মাওলানা এইচ এম হিজবুল্লাহ সাহেব, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা পেয়ার মোহাম্মদ সাহেব, সোহার শাখার সেক্রেটারি মাওলানা নোমান সাহেব, সহ-সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সাহাম শাখার সভাপতি মাওলানা ছানা উল্লাহ সাহেব, মাতরা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা জামাল উদ্দিন সাহেব, সার্বিক সহযোগিতায় সালালাহ শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা জোবায়ের হাজারী।
সভাপতিত্ব করেন সালালা শাখার সভাপতি মাওলানা আবুল হাসেম ফারুকী সাহেব। বক্তব্য রাখেন সালালা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা সিরাজ উদ্দিন কাজীনগরী, কেন্দ্রীয় সদস্য সাংবাদিক মাওলানা এইচ এম হিজবুল্লাহ সাহেব, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা পেয়ার মোহাম্মদ সাহেব, সোহার শাখার সেক্রেটারি মাওলানা নোমান সাহেব, সহ-সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সাহাম শাখার সভাপতি মাওলানা ছানা উল্লাহ সাহেব, মাতরা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা জামাল উদ্দিন সাহেব, সার্বিক সহযোগিতায় সালালাহ শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা জোবায়ের হাজারী।
বক্তারা সবাই ইসলামী
হুকুমতের প্রয়োজনীয়তা
ও গুরুত্ব
তুলে ধরেন
বলেন, দেশে
ন্যায় বিচার
ও সুশাসন
প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইসলামী বিপ্লব
এর বিকল্প
নেই।
No comments